ভগবান

সব স্বপ্ন ছুঁতে গিয়ে উড়িয়েছি অবাধ স্বাধীনতা
ক্লান্ত চোখের প্রান্তজুড়ে ভেঙেছি আজন্ম প্রথা!
নিয়মিত অনিয়মে অনুবাদ করেছি অন্তর্গত পুরাণ
আন্দোলিত আঁখিতে কোথাও নেই ঈশ্বর- ভগবান।

ওঁম শান্তি

ওঁম শান্তি! ওঁম শান্তি!! ওঁম শান্তি!!!
এই দারাশিকো মহান বাণী যিনি প্রতিষ্টিত করে চলে গেলেন
না ফেরার দেশে চিরতরে, তিনি কি আদৌ শান্তিতে আছেন?
গলির মোড়ে একটি অবলা বিজলি বাতি জ্বলছিল রুটিন মাফিক,
রোদন আর অগ্নিচুম্বনের শব্দে সেটি নিভে গেছে
শান্তি কেড়ে নিয়েছে অন্ধকার সমুদ্র।
ওঁম শান্তি! ওঁম শান্তি!! ওঁম শান্তি!!!
এই দারাশিকো মহান বাণী যিনি প্রতিষ্টিত করে চলে গেলেন
না ফেরার দেশে চিরতরে, তিনি কি আদৌ শান্তিতে আছেন?
জানালা গলিয়ে কিছু শীতকালীন রোদ এসে বসেছে দৃষ্টিনন্দন
উর্বশীর মেদহীন শরীরে, সূর্য সরে যেতেই শান্তির উষ্ণতা
উবে গেল প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে।
শস্যহানি ঘটে যাচ্ছে- দেরী নয়, এখনই পুজো দিতে হবে।
চিৎকারে চিৎকারে শূন্যতা কাঁপায় লিটন শর্মার মা
শান্তি শেষ করেছে ধর্মের আজন্ম দোহাই।
পুরনো দেওয়াল ঘড়ির পাশে ঘুমিয়ে থাকা দুঃখী আরশোলা
তার শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষুধার্ত এক টিকটিকি অবশেষে
শান্তি চলে গেল অভুক্ত অগ্নির উদরে।
আমার সমস্ত সত্তাকে টেনে নিয়ে যায়
৭১ এর পরাজিত বাহিনীর আক্রমণ নিভৃত অন্ধকারে, দেখি-
বুলেটে ঝাঁঝরা রক্তাক্ত দেহে স্বাধীনতা, একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছি!
তবে শান্তি নেই।

স্রোতস্বিনী

এ্যাই গলা ভিজাবি!
চল না, শুঁড়িবাড়ির ঘাড়ঁড়ায়
অলস দুপুরের আড্ডায় কানামাছির ভোঁ ভোঁ
অন্দরে অপেক্ষমাণ স্তনের নগ্ন উপত্যকা।
গ্লাস পিরিচের টুং টাং আর পাক খাওয়া ধোঁয়া
আর সভ্যতা বদলানোর সরস উপকরণ।
যাবো না কেন যাবো
এখানে মদ নেই আছে মাদকতা
আছে কবিতার অনন্ত প্রস্রবণ
সোনাগাজীর উদ্যানে পতিতার সমাবেশ
বিপ্লবীদের মুখে তারস্বরে গর্জে
ধর্মান্ধ'রা কি হলপ করে বলতে পারে
কোন মেয়ের নিষিদ্ধ বুকে রাখেনি উলঙ্গ হাত?
দু'মেয়ে চালিয়ে যায় এক যুবকের সাথে ফষ্টিনষ্টি
বাজারে কী ব্যাটা ছেলের অকাল পড়ে গেছে?
অদূরে দাঁড়িয়ে হাসে কবি তৈয়ব আসাদ
অন্ধগলির এবড়ো- থেবড়ো পথ মাড়িয়ে
জরায়ুতে যে গচ্ছিত রেখেছে অসংখ্য বীর্যবতী কবিতা।
পর্দার ওপারে বেঘোরে ঘুমুচ্ছে
শঙ্খিনী জাতের ষোড়শী
মাংসাশী জানে মাংসের স্বাদ
ভেতরের জন্তুটি লাফিয়ে ওঠে অস্থির রক্তের মৌতাতে
একি সব পুরুষের মনের কথা নয়?
এভাবে চলে, চলছে এবং চলবে অনন্ত রীতিতে।.